যশোর, বাংলাদেশ || মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

পহেলগামেরই বাসিন্দা, ঘোড়া-চালক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আব্দু

Jammu,India

শ্রীনগর
প্রকাশ : শনিবার, ৩ মে,২০২৫, ০১:১৫ পিএম
আপডেট : বুধবার, ২৫ জুন,২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
পহেলগামেরই বাসিন্দা, ঘোড়া-চালক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আব্দু

হামলার সময়ে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী ছিল না বৈসরণে, এক ঘণ্টা পরে সেনা পৌঁছায় সেখানে ছবি:

স্থান: বৈসরণ, পহেলগাম

দিন: মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল

হামলার সময়: দুপুর ২.১৫মিনিট

পহেলগামেরই বাসিন্দা, ঘোড়া-চালক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আব্দুল ওয়াহিদ ওয়ানিই স্থানীয় মানুষদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন।

বিবিসিকে তিনি বলছিলেন যে পুলিশই তাকে প্রথম ফোন করে খবর দিয়েছিল।

"আমি তখন গানশিবলে ছিলাম। পুলিশ প্রথম ফোনটা আমাকেই করেছিল দুইটা ৩৫ মিনিটে। আমাকে পুলিশ বলল যে বৈসরণে কিছু একটা হয়েছে, আপনি ওখানে গিয়ে দেখুন তো!"

"আমার ভাই সাজ্জাদকে নিয়ে বৈসরণের দিকে একরকম দৌড়তে শুরু করি। প্রায় সোয়া তিনটে নাগাদ আমরা পৌঁছাই সেখানে। আমি ছাড়া সেখানে আর কেউই যায়নি।"

"চারদিকে রক্তাক্ত মানুষজন। পুলিশ আমাদেরও পরে পৌঁছেছিল সেখানে," বলছিলেন মি. ওয়ানি।

তবে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন যে ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল।

দ্বিতীয় এক সূত্র থেকেও আমি জানতে পেরেছি যে পুলিশ অন্তত এক ঘণ্টা পরে বৈসরণে পৌঁছেছিল। ওই সূত্রটি এটাও বলেছে যে সেনাবাহিনী আর কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী পুলিশেরও পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ওই হামলা নিয়ে আমি বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে সকলেই নাম গোপন রাখার শর্তেই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।

পহেলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর কত সদস্য আছেন?

পহেলগামে নিরাপত্তাবাহিনীর একটা 'কোম্পানি' সবসময়ে মোতায়েন থাকে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আছেন সেখান, কিন্তু তাদের সংখ্যা বেশি নয়।

পহেলগাম বাজার থেকে সেনাবাহিনীর এই ছাউনিটা প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। যার অর্থ হলো বৈসরণের ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১২ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর অবস্থান। আর কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফের অবস্থান ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে – পহেলগাম বাজারের কাছে।

পহেলগামে পুলিশ থানাও আছে আর রয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মোট পুলিশ কর্মীর সংখ্যা অন্তত ৪০।

পহেলগামের বাসিন্দা বছর ৫০-এর এক নারী বলছিলেন যে কয়েক বছর আগে পর্যন্তও তিনি বৈসরণের রাস্তা দিয়ে কাঠ আনতে জঙ্গলে যেতেন। তিনি এই এলাকায় কখনো পুলিশকর্মীদের দেখেননি।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন যে গত কয়েক বছর ধরেই পহেলগাম শান্ত রয়েছে। তাই পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী আন্দাজই করতে পারেনি যে এরকম কোনো ঘটনা হতে পারে।

তিনি আরও বলছিলেন যে নিরাপত্তাবাহিনীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ছিল যে পহেলগামে কোনো 'চরমপন্থি' হামলা হতেই পারে না।

একটি সূত্র জানিয়েছে যে বৈসরণে হামলার আগে ওই পার্কে ১০৯২ জন পর্যটক ছিলেন, আর গুলি চলার সময়ে ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক হাজির ছিলেন। তার কথায় হামলার আগের দিন প্রায় ২৫০০ পর্যটক ওই পার্কে গিয়েছিলেন।

পহেলগাম বাজার থেকে বৈসরণের রাস্তাটি জঙ্গলের মধ্যে যাওয়া এক পাথুরে পাহাড়ি পথ।

এখানে পর্যটকদের হয় ঘোড়ায় চেপে অথবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়।

ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন