ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শৈলকুপায় সার ডিলার ও মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বি পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ সার উদ্ধার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই ব্যবসায়ীকে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএনও মাহফুজুর রহমান, উপজেলা কৃষিবিভাগ ও থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, এবার শৈলকুপায় সবচেয়ে বেশি সরকারি সার বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সার মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করায় সাধারণ কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। এমন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালানো হয়।
শুরুতে শৈলকুপা পৌর শহরের পাইলট স্কুল মার্কেটে ডিলার রাজিবুল ইসলামের একটি তালাবদ্ধ গোপন গোডাউনে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এসময় ১১০ বস্তা টিএসপি ও ৭৫ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করা হয়। একইসময়ে পাইলট হাইস্কুল রোড এলাকায় মেসার্স জীম ট্রেডার্সে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিরাজুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, তার গুদাম থেকে ১৬৫ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে খুলুমবাড়িয়া বাজারে অবৈধভাবে সার রাখার অপরাধে আবু দাউদ নামে এক খুচরা ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, তার দোকান থেকে ১৩৩ বস্তা ইউরিয়া, এমওপি ১৫৬ বস্তা ও দুই বস্তা ডিএপি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত সার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সরকারি মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে সার মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। যারা মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘পৌর শহরের পাইলট স্কুল মার্কেটে তালাবদ্ধ গোপন গোডাউনে অভিযান চালানোর সময় ডিলার রাজিবুল ইসলাম উপস্থিত না থাকায় তাকে জরিমানা করা হয়নি। তবে তাকেও আমরা মোবাইল কোর্টের আওতায় আনবো। অবৈধভাবে সার মজুদ বন্ধ করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’