সুবর্ণভূমি ডেস্ক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত যোগ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, এসব পদে আবেদন করতে হলে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়েই প্রার্থীর তৃতীয় বিভাগ থাকা যাবে না। কারো শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় বিভাগ পাওয়া গেলে তাকে সরাসরি অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সংশোধিত নীতিমালাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুতই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নীতিমালাটি এখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের দপ্তরে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এটি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে এনটিআরসি’র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগের সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে পরীক্ষা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে কত নম্বরের পরীক্ষা হবে, লিখিত–মৌখিক কোনোটিতে কত নম্বর বরাদ্দ থাকবে, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনটিআরসি’র বোর্ড।
বিধিমালা সংশোধন কমিটি ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু তা চূড়ান্ত নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়নি। নম্বর বণ্টন নির্ধারণের ক্ষমতা এনটিআরসি’র নির্বাহীর দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সমমানের সব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এটিকে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।