যশোর, বাংলাদেশ || বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi Subornovumi
Ad for sale 870 x 80 Position (1)
Position (1)
Ad for sale 870 x 100 Position (1)
Position (1)

রোগী মৃত্যুর জের

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক লাঞ্ছিত, মেশিন ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার

, যশোর

প্রকাশ : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর,২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর,২০২৫, ০১:১৯ পিএম
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক লাঞ্ছিত, মেশিন ভাঙচুর

যশোরে একমাত্র স্বতন্ত্র করোনারি কেয়ার ইউনিটে উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মিজানুর রহমান (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় স্বজনরা চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও ইসিজি মেশিন নষ্ট থাকায় তা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত একটা ৩০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান সদর উপজেলার চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা।

মৃতের ছেলে ফেরদৌস ও স্বজন জসীমউদ্দীন জানান, বাড়িতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিজানুর রহমানকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির নির্দেশ দেন।

ভর্তির পর রোগীকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসক রুমের ভেতর থেকেই ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ওয়ার্ডে প্রেরণ করেন। ওয়ার্ডের রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কর্তব্যরত সেবিকার খবর পেয়ে সেখানে যান ইন্টার্ন চিকিৎসক। তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে চলে যান।

এ সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রোগীর স্বজনরা রাতে ডিউটিরত চিকিৎসককে বিষয়টা জানালেও কেউ রোগীর কাছে যাননি বলে অভিযোগ করেন তারা।

ছেলে ফেরদৌস আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ইসিজি মেশিনটি নষ্ট ছিল। রোগীর অবস্থার অবনতি হলেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা ইসিজি মেশিন ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সিসিইউতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে করোনারি কেয়ার ইউনিটে রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সময় কর্তব্যরত অনারারি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সজল অধিকারী জানান, এই বিভাগের কোন ডাক্তার কখন কর্তব্য পালন করেন; সে বিষয়ে বিভাগীয় ডাক্তার বাদে অন্যদের বলা নিষেধ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সেবিকারা ডাকার সাথে সাথে আমি রোগীকে যথাযথ সেবা প্রদান করি। রোগীর শারীরিক অবস্থা শুরু থেকেই অত্যন্ত খারাপ ছিল। তাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা হয়নি বা ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।’

বরং রোগীর মৃত্যুর খবর জানার পর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ইসিজি মেশিন ভাংচুর করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন স্বজনরা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসেন শাফায়েত বলেন, ‘করোনারি কেয়ার ইউনিটে মৃত্যুর ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad for sale 270 x 200 Position (2)
Position (2)