সুবর্ণভূমি ডেস্ক
সংগৃহীত
ছবি:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে দলটি হাসপাতালের মূল ভবনে প্রবেশ করে। তারা কিছুক্ষণের মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকিতে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। এই বিদেশি চিকিৎসকদের বেশিরভাগই চীনা নাগরিক বলেও সূত্রটি উল্লেক করেছে।
মেডিকেল বোর্ড জানায়, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তি বিশেষজ্ঞ মতামত অত্যন্ত প্রয়োজন।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। আজ সকালে ডা. রেজা কিবরিয়ার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম অসুস্থ। আমাদের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, খালেদা জিয়া সিসিইউতে আছেন। আগের মতো আজও তার চিকিৎসা চলছে। এটাই সবশেষ আপডেট। অন্য যে যাই বলুক, কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
‘যদিও তিনি সঙ্কটের মধ্যে, গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত যে শারীরিক অবস্থায় ছিলেন আজও সে রকমই আছেন।’
বিভ্রান্তির বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই বিভ্রান্তিতে কেউ যেন কান না দেয়। আমি যেটা বললাম এটাই হলো খালেদা জিয়ার সবশেষ আপডেট।’
উল্লেখ্য, ৮১ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে ১৫ অক্টোবর তিনি একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় একদিন থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে ১১৭ দিন থাকার পর ৬ মে দেশে ফেরেন। এরপর থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।