জয়নাল আবেদীন
, বাগআঁচড়া (যশোর)
‘একটাই কথা আছে বাংলাতে/ মুখ আর বুক বলে একসাথে/ সে হলো বন্ধু... বন্ধু আমার...” বাংলা সিনেমার এই জনপ্রিয় গানটি শুধু যে বাংলাভাষীদের জন্যে মানানসই, ঠিক তা নয়। বন্ধুত্ব যে কোনো ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, দেশ মানে না তা প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক সিমকো ইয়ং।
শুধুমাত্র বন্ধুত্বের টানে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকলেন তিনি।
আকাশপথে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনি পৌঁছছেন যশোরের শার্শা উপজেলার রাজনগর গ্রামে, বন্ধু মুকুল হোসেনের বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সিমকো ইয়ং। সেখানে তাকে স্বাগত জানান দীর্ঘদিনের বন্ধু মুকুল হোসেন। সকাল ১০টার মধ্যেই বিদেশি বন্ধুকে সাথে নিয়ে মুকুল পৌঁছান তাদের রাজনগর এলাকার বাড়িতে।
খবর পেয়ে বিদেশি নাগরিককে একনজর দেখতে স্থানীয় মানুষের ঢল নামে বাড়ির চারপাশে। গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।
মুকুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। সেই কোম্পানির মালিক সিমকো ইয়ংয়ের সঙ্গে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কাজশেষে দেশে ফেরার অনেক বছর পরও বন্ধুত্বের সেই সেতুবন্ধন অটুট রেখে বাংলাদেশে আমার খোঁজ নিতে ছুটে এসেছেন তিনি।’
বাংলাদেশ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সিমকো ইয়ং বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব সুন্দর দেশ। এখানকার মানুষ অত্যন্ত ভালো এবং আন্তরিক। দেশটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, নিজেদের এলাকায় একজন বিদেশি অতিথি দেখে তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও আপ্লুত। সিমকো ইয়ংয়ের আগমন তাদের গ্রামে এনে দিয়েছে ভিন্নরকম আনন্দ ও উৎসবের রং।